তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে, Bangladesh News Today

Bangladesh News Today
Bangladesh News Today


প্রকাশিত: ১৯-০৬-২০২২ ১০:৫৮
আপডেট: ১৯-০৬-২০২২ ১০:৫৮
নিজস্ব সংবাদদাতা: টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা ও মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্তিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে আগামী ২৪ ঘণ্টা।

ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বিপদসীমার অতিক্রম করায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ও পাবনা জেলায় ৭-১০ দিন মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

নীলফামারী

জেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় ডালিয়া জিরো পয়েন্টে এটি রেকর্ড করা হয়। জেলার ডিমলা উপজেলার নদী তীরবর্তী ছয়টি ইউনিয়নের ১৫টি চরের প্রায় ৫ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। 
 
নেত্রকোণা

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে আরও নতুন নতুন অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, জেলার ১০ উপজেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সাত উপজেলার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।

ফরিদপুর

ফরিদপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে পদ্মার পানি। ফলে প্লাবিত হতে শুরু করেছে চর  ও নিম্নাঞ্চল। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার পদ্মা, মধুমতি, আড়িয়ালখাঁ ও কুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। কিছুটা উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে কয়েকটি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কালন্দি খাল দিয়ে ত্রিপুরা থেকে আসা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় ও কাস্টমস হাউজে পানে প্রবেশ করেছে।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সব নদ-নদীতে বন্যার পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে হাওর অধ্যুষিত ছয় উপজেলার ২৫ ইউনিয়নের ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়েছে হাজারো পরিবার। বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে পানি।

গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় ঘাঘট, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর পানি বেড়ে চলছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ঘাঘট নদীতে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। নদীতে পানি বাড়ায় সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদরের চর অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

দেশের ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।

Next Post Previous Post