আমাদের শরীরে প্রোবায়োটিকের মতোই প্রিবায়োটিকও গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে ? আসুন জানা যাক

আমাদের শরীরে প্রোবায়োটিকের মতোই প্রিবায়োটিকও গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে ? আসুন জানা যাক

Arambagh TV : আমরা অনেকেই প্রোবায়োটিক সম্বন্ধে শুনেছি যাকে আমরা ভালো ব্যাক্টেরিয়া বলেই জানি। কিন্তু আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য প্রিবায়োটিকও একটা বিশাল ভূমিকা পালন করে। এমন অনেক ধরণের খাবার আছে যাতে এই প্রিবায়োটিক থাকে।

প্রিবায়োটিকগুলি মূলত ফাইবার বা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যা মানুষের শরীর হজম করতে পারে না।

সোজা কথায় এগুলো প্ল্যান্ট ফাইবার যেগুলো হজম হয়না না, তাই এগুলো লোয়ার ডাইজেস্টিভ ট্রাক্টে গিয়ে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির জন্য খাদ্য সরবরাহ করে। বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি, ফল এবং লেবু এই প্রিবায়োটিকের উত্‍স।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন অনুসারে, আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রিবায়োটিকগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি কারণ এগুলো পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে, আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। Inulin, fructooligosaccharides (FOS), এবং galactooligosaccharides (GOS) হল কিছু সুপরিচিত প্রিবায়োটিক। প্রিবায়োটিক আমাদের শরীরে কি কি সুবিধা প্রদান করে আসুন তা জেনে নেওয়া যাক -

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পারে : আপনি কি প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভোগেন , তবে জেনে রাখা ভালো যে প্রিবায়োটিক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভীষণভাবে সক্ষম। ISAPP এর মতে এগুলো বাওয়েল মুভমেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের অনেক সমস্যাকে দূর করে। প্রিবায়োটিকের কিছু সাইড এফেক্টস আছে যা আপনাকে মাঝে মধ্যে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে যেমন গ্যাস কিংবা ব্লোটিং। তাই আপনার যদি এই ধরণের কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া থেকে থাকে তাহলে তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে প্রিবায়োটিক নেওয়া শুরু করুন।

গাট হেলথকে সুস্থ রাখে : পাকস্থলী এবং পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রিবায়োটিকের ভূমিকা অনেক বড়। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ইনফ্লেমেশন যা শরীরে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় তা কমাতেও প্রিবায়োটিকের গুরুত্ব অনেক বেশি।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে : আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তবে জেনে রাখুন প্রিবায়োটিক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং রোগের উপসর্গিগুলি পরিচালনা করতে যথেষ্ট সক্ষম। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে প্রিবায়োটিক খাওয়ার সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া এবং HbA1c-এর সম্পর্ক রয়েছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : আমাদের শরীরে হেলদি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে প্রিবায়োটিক খুবই কার্যকরী। হেলদি ব্যাকটেরিয়া এবং হেলদি মাইক্রোবায়োমের উপস্থিতি আমাদের শরীরে ইমমুনিটিকে বাড়াতে সাহায্য করে। প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়াকে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে ঢুকে সমস্যা সৃষ্টি করতে বাধা দেয় অন্ত্রে উপস্থিত মাইক্রোফ্লোরা। ওটস, বেরি, কলা, রসুন, পেঁয়াজ, লিক এবং অ্যাসপারাগাসে প্রচুর পরিমানে প্রিবায়োটিক ফাইবার থাকে।

Next Post Previous Post