ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রবাসীসহ ২ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রবাসীসহ ২ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রবাসীসহ ২ জনের মৃত্যু
by Google.com

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়।

গতকাল সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণাবড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এক কৃষক এবং রাতে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যাওয়া কৃষকের বাড়ি উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চরছাউনী গ্রামে। তবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি-না সেটি এখনও জানা যায়নি। তার সংস্পর্শে আসা ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এর আগে সোমবার দুপুরে ৪৫ বছর বয়সী এই কৃষকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে সকালে তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে চিকিৎকরা তাকে ঢাকায় পাঠান।

Covid-19 coronavirus information

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, সন্ধ্যায় ওই কৃষক আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কি-না আমি জানি না। যদি নিয়ে থাকে তাহলে রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি-না।

অপরদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় শ্বাসকষ্টে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার জেঠাগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ওই প্রবাসীর শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সী ওই প্রবাসী গত ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন। এরপর নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালে তার শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে ৪ এপ্রিল তিনি কিছুটা অসুস্থতা বোধ করলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তার টাইফয়েড ধরা পড়ে। তবে ওই সময় করোনার উপসর্গ ছিল না। এরপর মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে তিনি শ্বাসকষ্টে মারা যান।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রবাসী মারা গেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই প্রবাসীর শ্বশুরবাড়ি আমরা লকডাউন করে দিয়েছি। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি-না জানা যাবে।

Next Post Previous Post